প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টাইন স্টেশন 
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কুর্মিটোলা,ঢাকা।

পটভুমিঃ বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের বেশীর ভাগ লোক কৃষিকাজ তথা ফসল উৎপাদন, গবাদিপ্রানি ও হাঁস-মুরগী পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। বিশেষ করে এদেশের শিক্ষিত বেকার যুবক-যব মহিলাগন হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল এর খামার করে তাদের নিজেদের সহ অন্য লোকদের ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছেন। এজন্য অনেক সময় উন্নত জাতের হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল, ভেড়া আমদানি করতে হয়। তাছাড়াও বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন প্রানি ও প্রাণিজাত পণ্য প্রায়শই বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। এ সকল প্রানি ও প্রাণিজাত পণ্য আমদানি ও রপ্তানির  সময়  যাতে কোন ধরনের জীবানু বা বিভিন্ন জুনোটিক রোগ বহন করে নিয়ে আসতে না পারে সেজন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধীনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় প্রািণরোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রন প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে মোট ২৪(চব্বিশ) টি প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টাইন স্টেশন স্থাপিত হয়। এরই অংশ হিসেবে ২৩ জুন ২০১৩ খ্রিঃ / ০৯ আষাঢ ১৪২০ বঙ্গাব্দ তারিখে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কুর্মিটোলা, ঢাকাতে প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টাইন স্টেশন চালু হয়। ঐসময় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের তৎকালীন মাননীয় মন্ত্রী জনাব আব্দুল লতিফ বিশ্বাস , এম.পি এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী  কর্নেল (অবঃ) জনাব মুহাম্মদ ফারূক খান, এমপি মহোদয় সহ বিভিন্ন মন্ত্রনালয় ও অধিদপ্তরের উর্ধত্বন কর্মকর্তা উপস্থিতিতে স্টেশনটির শুভ উদ্বোধন হয়। স্টেশনটি উদ্বোধনের প্রাথমিক পর্যায়ে টার্মিনাল -০১ এর পাশে ০৩ (তিন) টি রুম নিয়ে দপ্তরের কার্যক্রম চালু হয়। পরবর্তীতে দপ্তরটি রপ্তানি কার্গো ভবনের ৩য় তলায় স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে রপ্তানি কার্গো ভবনের ৩য় তলায় ০১ টি অফিস কক্ষ, আমদানি কার্গো ভবনে ০১ টি কক্ষ এবং টার্মিনালে রেড চ্যানেলে ০১ টি  ডেস্ক অবস্থিত আছে।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
১) বিভিন্ন  ধরনের ট্রান্স বাউন্ডারী ও সংক্রামক রোগ থেকে গবাদি স¦াস্থ্য তথা মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করা।
২) ও.আই.ই ও অন্যান্য অনুমোদিত সংস্থা হতে বাংলাদেশকে ট্রান্স বাউন্ডারী ও সংক্রামক রোগমুক্তকরন ঘোষনা করা।
৩) আন্তর্জাতিক বানিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রানি ও প্রাণিজাত পণ্যের ব্যবসার ক্ষেত্র বৃদ্ধি করা।
৪) লাইভস্টক সেক্টরে উৎপাদন বৃদ্ধি করা।
৫) পোল্ট্রি ও পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা।
৬) ডেইরী ও ডেইরী ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা।
৭) খাদ্য নিরাপত্তা  নিশ্চিত ও নিরাপদ খাদ্য প্রদানের লক্ষ্যে দুধ, মাংস, ডিম এর উৎপাদন বৃদ্ধি করা।
৮) গবাদিপ্রাণি ও হাস মুরগী পালনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের দ্বার উন্মোচন করা।

প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টাইন ষ্টেশন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর,
ঢাকা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য

  • মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় “প্রাণিরোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প” এর মাধ্যমে দেশের স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে ২৪ টি কোয়ারেন্টাইন ষ্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। তন্মধ্যে ২৩ জুন ২০১৩ খ্রি: তারিখ হতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা এ কার্যক্রম শুরু হয় এবং প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
  • হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকায় অত্র দপ্তরের রপ্তানি কার্গো ভিলেজের ৩য় তলায় ২৫০ বর্গফুট বিশিষ্ট  একটি অফিস কক্ষ, আমদানী র্কাগোতে ৭০ বর্গফুট একটি কক্ষ এবং মূল আন্তর্জাতিক  টার্মিনাল ভবনে একটি আগমনী ডেস্ক রয়েছে। 
  • অত্র দপ্তরে বর্তমানে প্রেষনে ০১ জন ১ম শ্রেনীর কর্মকর্তা এবং ০৭ জন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারী কর্মরত আছেন। 

  • হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, কুর্মিটোলা, ঢাকায়-
১। আমদানী কার্গোর মাধ্যমে বিদেশ থেকে বিভিন্ন প্রানী ও প্রাণিজাত পণ্য (যেমন-এক দিনের মুরগীর বাচ্চা, গরু, ছাগল, ভেড়া, কুকুর, বিড়াল, পাখি, কবুতর এবং ভ্যাক্সিন, সিমেন) বাংলাদেশে প্রবেশ করে। 

২। টার্মিনাল ভবনে আগমনী ও বহির্গমন ডেস্কের মাধ্যমে যাত্রীগন বিভিন্ন প্রানী ও প্রাণিজাত পণ্য (যেমন- কুকুর, বিড়াল)  বহন করে থাকেন। 

৩। রপ্তানী কার্গোর মাধ্যমে  বিভিন্ন প্রানী ও প্রাণিজাত পণ্য (যেমন- কুকুর, বিড়াল, মানুষের খাবার যোগ্য মাংস, বুলস্টিক) রপ্তানী হয়ে থাকে।  

ক. হশাআবি’র টার্মিনাল ভবনে আগমন ও বর্হিগমন কালে যাত্রীগন বিভিন্ন প্রাণি ও প্রাণিজাত পণ্য (যেমনঃ পোষা কুকুর, বিড়াল) বহন করে থাকেন। বাংলাদেশে নিয়ে আসা বা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ,খামারবাড়ি, ফার্মগেট,ঢাকা, টেলিফোনঃ +৮৮-০২-৯১১৫৯৩৬ adtraining.dls@gmail.com   এর দপ্তর হতে অনাপত্তি পত্র (এন.ও.সি.) গ্রহন করতে হবে। 

খ. অনাপত্তি পত্র, ভেটেরিনারি হেলথ সার্টিফিকেট এবং ভ্যাকসিনেশন কার্ড এর অনুলিপি প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টাইন স্টেশন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর কুর্মিটোলা, ঢাকা, টেলিফোনঃ +৮৮-০২-৮৯০১০৩২ , livestockquarantinehsia@gmail.com জমা প্রদান পূর্বক বিড়াল বা কুকুর আগমনী ডেস্ক (টার্মিনাল) দিয়ে আসলে  সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের সঠিকতা যাচাই ও  প্রাণির সুস্থতা পরীক্ষা করে কোয়ারেন্টাইন কার্যক্রম সেবামূলক মানসিকতায় দায়িত্বশীলতার সাথে পরিচালনা করা হয়। সেই সাথে সরকার নির্ধারিত কোয়ারেন্টাইন ফি রশিদের মাধ্যমে গ্রহন করে ( যা পরবর্তীতে টি আর চালানের মাধ্যমে সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়ে থাকে)  বিড়াল বা কুকুর ছাড়করন করা হয়।

ইমপোর্ট কার্গোর মাধ্যমে আমদানীকৃত পশু পাখি ও পশুজাত পণ্য- এক দিন বয়সী মুরগীর বাচ্চা, কুকুর, বিড়াল, গরু, ছাগল, ভেড়া, খরগোশ, হাঁঁস, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, হ্যাচিং ডিম, মেডিসিন ,ভ্যাকসিন, সিমেন ইত্যাদি।
 
উপরোক্ত বিভিন্ন পশু পাখি ও পশুজাত পণ্য আমদানীর জন্য সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ফার্মগেট,ঢাকা, টেলিফোনঃ +৮৮-০২-৯১১৫৯৩৬, adtraining.dls@gmail.com   এর দপ্তর হতে অনাপত্তি পত্র (এন.ও.সি.) গ্রহন করতে হবে। 

মেডিসিন, ভ্যাকসিন আমদানীর জন্য সহকারী পরিচালক(প্রাণিস্বাস্থ্য ও প্রশাসন), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর , খামারবাড়ি, ফার্মগেট, ঢাকা, টেলিফোনঃ +৮৮-০২-৯১১৫৯৬৮, adhealthdls@gmail.com   এর দপ্তর হতে অনাপত্তি পত্র (এন.ও.সি.) গ্রহন করতে হবে। 

বন্য প্রাণি আমদানির জন্য বন সংরক্ষক, বন্য প্রানী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল,বন ভবন, আগারগাও, ঢাকা, টেলিফোনঃ +৮৮-০২-৮১৮১১৪২, cfwildlifefd@gmail.com এর দপ্তর হতে অনাপত্তি পত্র (এন.ও.সি.) গ্রহন করতে হবে। 

রপ্তানী কার্গোর মাধ্যমে রপ্তানীকৃত পাখি ও পশুজাত পণ্য-  কুকুর, বিড়াল, মানুষের খাবার যোগ্য মাংস, বুলস্টিক ইত্যাদি পশু পাখি ও পশুজাত পণ্য রপ্তানির জন্য সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর , খামারবাড়ি, ফার্মগেট,ঢাকা, টেলিফোনঃ +৮৮-০২-৯১১৫৯৩৬, adtraining.dls@gmail.com   এর দপ্তর হতে অনাপত্তি পত্র (এন.ও.সি.) গ্রহন করতে হবে। 

উপরোক্ত বিভিন্ন পশু পাখি ও পশুজাত পণ্য আমদানী ও রপ্তানীর জন্য অনাপত্তি পত্র (এন.ও.সি.) গ্রহনের পর এর সাথে সম্পৃক্ত যাবতীয় কাগজপত্র (মালামাল ছাড়করনের আবেদন পত্র, ভেটেরিনারি হেলথ সার্টিফিকেট এবং ভ্যাকসিনেশন কার্ড, এয়ারওয়ে বিল, কমার্শিয়াল ইনভয়েজ ,প্যাকিং লিষ্ট, কান্ট্রি অব অরিজিন) ইত্যাদি সহ প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টাইন স্টেশন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর কুর্মিটোলা, ঢাকা, টেলিফোনঃ +৮৮-০২-৮৯০১০৩২, livestockquarantinehsia@gmail.com জমা প্রদান করতে হবে। সংশ্লিষ্ট পশু পাখি ও পশুজাত পণ্যের সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ও  প্রাণির সুস্থতা সরেজমিন পরীক্ষা করে কোয়ারেন্টাইন কার্যক্রম সেবামূলক মানসিকতায় দায়িত্বশীলতার সাথে পরিচালনা করা হয়। সেই সাথে সরকার নির্ধারিত কোয়ারেন্টাইন ফি রশিদের মাধ্যমে গ্রহন করে ( যা পরবর্তীতে টি আর চালানের মাধ্যমে সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়ে থাকে) পশু পাখি ও পশুজাত পণ্য ছাড়করন করা হয়।                                        
                
                                            
 রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত তথ্য

  • গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রনালয় কর্তৃক জারীকৃত পত্র মোতাবেক পশু পাখি ও পশুজাত পণ্যের সঙ্গনিরোধ পরীক্ষা ফি আদায় করা হয় ।

  • উল্লেখ্য যে, এই ফি সরকার নির্ধারিত মানি রিসিপ্ট বা বাংলাদেশ  ফরম নং ৩৯ (এফ আর ফরম নং১-বি) এর মাধ্যমে আদায় করা হয় ।

  • আদায়কৃত রাজস্ব ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে সরকারী কোষাগারে কোড -১-৪৪৪১-০০০০-২০১৭ তে জমা প্রদান করা হয় ।

  • যা অনলাইন/ অটোমেটেড চালান ভেরিফিকেশন এর মাধ্যমে যথাযথ কোডে জমা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা হয় ।

নমুনা প্রেরণ সংক্রান্ত তথ্য

  • বিমান হতে অবতরনের পর  প্রতি লট হতে ০১ দিন বয়সী মুরগীর বাচ্চার নমুনা (০৩ টি) সংগ্রহ করে পত্র সহকারে তা কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষনাগার, ৪৮,কাজী আলাউদ্দিন রোড, ঢাকাতে প্রেরণ করা হয় ।

  • সেখানে নমুনা পরীক্ষান্তে তার ফলাফল সহকারী পরিচালক(প্রশিক্ষন),প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ঢাকা বরাবর প্রেরন করা হয়। উল্লিখিত দপ্তর হতে পশু পাখি ও পশুজাত পণ্য আমদানী বা রপ্তানীর পূর্বে অনাপত্তি পত্র/ অনুমতি পত্র  প্রদান করা হয় ।

  • “প্রাণিরোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে”র  মাধ্যমে এই স্টেশনের কার্যক্রম শুরু হলেও প্রয়োজনীয় জমি লীজ না পাওয়ায় ল্যাবরেটরী বা এনিম্যাল শেডসহ কোনো প্রকার অবকাঠামো তৈরী  করা হয়নি। যার কারনে আমদানীকৃত জীব-জন্তু , পশু-পাখি জীবাণুমুক্ত কিংবা  জুনোটিক ডিজিজ (তড়ড়হড়ঃরপ উরংবধংব) এ সংক্রামিত কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ব্যবস্থা এই কোয়ারেন্টাইন স্টেশনে নেই। যার কারনে  আমদানীকৃত পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পত্র সহকারে তা কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষনাগার, ৪৮,কাজী আলাউদ্দিন রোড,ঢাকাতে প্রেরণ করা হয়।
                                                                                      

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, কুর্মিটোলা, ঢাকায়-

১। আমদানী কার্গোর মাধ্যমে বিদেশ থেকে বিভিন্ন প্রানী ও প্রাণিজাত পণ্য (যেমন-এক দিনের মুরগীর বাচ্চা, গরু, ছাগল, ভেড়া, কুকুর, বিড়াল, পাখি, কবুতর এবং ভ্যাক্সিন, সিমেন) বাংলাদেশে প্রবেশ করে। 
২। টার্মিনাল ভবনে আগমনী ও বহির্গমন ডেস্কের মাধ্যমে যাত্রীগন বিভিন্ন প্রানী ও প্রাণিজাত পণ্য (যেমন- কুকুর, বিড়াল)  বহন করে থাকেন। 
৩। রপ্তানী কার্গোর মাধ্যমে  বিভিন্ন প্রানী ও প্রাণিজাত পণ্য (যেমন- কুকুর, বিড়াল, মানুষের খাবার যোগ্য মাংস, বুলস্টিক) রপ্তানী হয়ে থাকে।  
৪। আমদানীকৃত পশু পাখি ও পশুজাত পণ্য- এক দিন বয়সী মুরগীর বাচ্চা, কুকুর, বিড়াল, গরু, ছাগল, ভেড়া, হরিন, ইম্পালা, জেব্রা, ঘোড়া, জিরাফ, জলহস্তী, বাঘ/চিতাবাঘ, খরগোশ, পাখি, কবুতর, হাঁঁস, টার্কি, হ্যাচিং ডিম, মেডিসিন ,ভ্যাকসিন, সিমেন ইত্যাদি।
৫। রপ্তানীকৃত পাখি ও পশুজাত পণ্য- কুকর, বিড়াল, মাংস,বুলস্টিক,সল্টেড ওমেজাম, কবুতর ইত্যাদি।
    

প্রবাসী কর্মজীবীসহ যাত্রীদের সহযোগিতার লক্ষ্যে অত্র দপ্তরের করণীয়-

ক. হশাআবি’র টার্মিনাল ভবনে আগমন ও বর্হিগমন কালে যাত্রীগন বিভিন্ন প্রাণি ও প্রাণিজাত পণ্য (যেমনঃ পোষা কুকুর, বিড়াল) বহন করে থাকেন। বাংলাদেশে নিয়ে আসা বা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ,খামারবাড়ি, ফার্মগেট,ঢাকা, টেলিফোনঃ +৮৮-০২-৯১১৫৯৩৬ adtraining.dls@gmail.com   এর দপ্তর হতে অনাপত্তি পত্র (এন.ও.সি.) গ্রহন করতে হবে। 
 
খ. অনাপত্তি পত্র, ভেটেরিনারি হেলথ সার্টিফিকেট এবং ভ্যাকসিনেশন কার্ড এর অনুলিপি প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টাইন স্টেশন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর কুর্মিটোলা, ঢাকা,এর ইমেইল livestockquarantinehsia@gmail.comতে জমা প্রদান পূর্বক বিড়াল বা কুকুর আগমনী ডেস্ক (টার্মিনাল) দিয়ে আসলে  সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের সঠিকতা যাচাই ও  প্রাণির সুস্থতা পরীক্ষা করে কোয়ারেন্টাইন কার্যক্রম সেবামূলক মানসিকতায় দায়িত্বশীলতার সাথে পরিচালনা করা হয়। সেই সাথে সরকার নির্ধারিত কোয়ারেন্টাইন ফি রশিদের মাধ্যমে গ্রহন করে ( যা পরবর্তীতে টি আর চালানের মাধ্যমে সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়ে থাকে) স্বচ্ছতার সাথে বিড়াল বা কুকুর ছাড়করন করা হয়।

টার্মিনাল ভবনের মাধ্যমে পোষা কুকুর, বিড়াল আমদানি বা রপ্তানি কার্যক্রমের ধাপঃ

ক) হশাআবি’র টার্মিনাল ভবনে আগমন ও বর্হিগমন কালে যাত্রীগন বিভিন্ন প্রাণি ও প্রাণিজাত পণ্য (যেমনঃ পোষা কুকুর, বিড়াল) বহন করে থাকেন। উপরোক্ত প্রাণি বাংলাদেশে নিয়ে আসা বা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ,খামারবাড়ি, ফার্মগেট, ঢাকা, টেলিফোনঃ +৮৮-০২-৯১১৫৯৩৬;  adtraining.dls@gmail.com   এর দপ্তর হতে অনাপত্তি পত্র (এন.ও.সি.) গ্রহন করতে হবে। 

বিমানবন্দরস্থ প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টাইন ষ্টেশন হতে কোয়ারেন্টাইন র্সাটিফিকেট  গ্রহনের জন্য নি¤œলিখিত ডকুমেন্টস সমূহ প্রেরণ করতে হবে।
ক) আবেদন পত্র।
খ) অনাপত্তি পত্র।
গ) ভেটেরিনারি হেলথ সার্টিফিকেট।
ঘ) ভ্যাকসিনেশন কার্ড।
ঙ) প্রানির ছবি।

উপরোক্ত ডকুমেন্টস সমূহের সফট কপি প্রাণি বাংলাদেশে নিয়ে আসা বা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়ার কমপক্ষে ০৭ (সাত) দিন পূর্বে প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টাইন ষ্টেশনের ইমেইল
livestockquarantinehsia@gmail.com এ প্রেরণ করতে হবে।  কোয়ারেন্টাইন সার্টিফিকেট সংক্রান্ত কোন প্রয়োজনে +৮৮-০২-৮৯০১০৩২ নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে।


প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টাইন ষ্টেশন
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কুর্মিটোলা,ঢাকা।


রুপকল্প, অভিলক্ষ্য এবং কার্যাবলী

রুপকল্প (Mission)

পশু-পাখি ও পশুজাত পণ্য আমদানি-রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রোগজীবানুর অনুপ্রবেশ ও  বিস্তার রোধ এবং প্রাণিস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

অভিলক্ষ্য  (Vision)

 বাংলাদেশে বিদ্যমান আইন (পশু-পাখি ও পশুজাত পণ্য সঙ্গনিরোধ আইন-২০০৫) এবং আন্তর্জাতিক বিধি বিধানের আলোকে  বহিঃবাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত পশু-পাখি ও পশুজাত  পণ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রোগজীবানুর অনুপ্রবেশ ও  বিস্তার রোধ এবং প্রাণিস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

কার্যাবলি ( Function)

১. পশু-পাখি ও পশুজাত পণ্যের সঙ্গনিরোধ, আমদানি ও রপ্তানি নিষিদ্ধ, ইত্যাদি। `|-  The Imports and Exports ( Control), Act 1950 (XXXIX of 1950) এর অধীন সরকার কর্তৃক , সময় সময জারীকৃত আমদানি রপ্তানি নীতি আদেশে বিদৃত শর্তে কোন পশু বা মানুষের রোগের কারন হইতে পারে এইরুপ কোন পশু বা পশু জাত পণ্যের সঙ্গনিরোধ, আমদানি রপ্তানি নিষিদ্ধ, সীমিত বা অন্য কোন ভাবে নিয়ন্ত্রন করা যাইবে।

২. সঙ্গনিরোধের জন্য পশু-পাখি ও পশুজাত পণ্যের নিয়ন্ত্রন-সঙ্গনিরোধের জন্য আটক সকল পশু-পাখি ও পশুজাত পণ্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রনে থাকিবে, এবং তিনি , নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উক্ত পশু এবং পশুজাত পণ্যের সঙ্গনিরোধ সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

৩. সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তার ক্ষমতা ও কার্যাবলি- সঙ্গনিরোধের উদ্দেশ্যে সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা পশু- পাখি ও পশুজাত পণ্য আটক; পরিদর্শন; সঙ্গনিরোধের সময়সীমা নির্ধারন;সঙ্গনিরোধাবস্থা হতে মুক্তকরণ; নির্ধারিত পরীক্ষা- নিরীক্ষা সম্পন্নের জন্য যথাযথ আদেশ দান; সঙ্গনিরোধের জন্য আটক পশুর স্বাস্থ্য সনদ ইস্যুকরণ; রোগাক্রান্ত পশু বা সংক্রমিত পশুজাত পণ্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে ধ্বংসকরণ বা অন্য কোন ভাবে নিষ্পত্তির আদেশ দান; ভ্রমনের অযোগ্য পশু রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা দান; সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত পশু- পাখি ও পশুজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে উক্ত পশু- পাখি ও পশুজাত পণ্য আমদানিকারকের নিজ খরচে উহা ফেরত প্রদান বা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিষ্পত্তির আদেশ দান; এবং উপরি-উক্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহন।

৪. আমদানিকারক কর্তৃক আমদানির বিষয়ে অবহিতকরণ।-প্রত্যেক আমদানিকারক কোন  পশু- পাখি ও পশুজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে উক্ত আমদানির অন্যুন ১৫ (পনের) দিন পূর্বে উক্ত আমদানিতব্য পশু- পাখি ও পশুজাত পণ্য সম্পর্কে সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে অবহিত করবে।

৫. বৈধ আমদানি লাইসেন্স ব্যতিরেকে আমদানিকৃত পশু বা পশুজাত পণ্য সম্পর্কিত বিধান।- যদি বৈধ আমদানি লাইসেন্স এবং স্বাস্থ্য সনদ ব্যতিরেকে কোন পশু বা পশুজাত পণ্য আমদানি করা হয় এবং যদি উক্ত পশু সংক্রামক রোগে আক্রান্ত না হয় ,বা পশুজাত পণ্য যদি সংক্রমিত না হয়, তাহা হইলে সরকার, নির্ধারিত  পদ্ধতিতে  উহা নিষ্পত্তি করিতে পারিবে।

৬. দন্ড।-  যদি কোন ব্যক্তি এই আইন বিধির কোন বিধান লংঘন করেন বা এই আইন বিধির অধীন প্রাপ্ত নোটিশ অনুযায়ী দ্বায়িত্ব সম্পাদনে বা নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তিনি অনুরূপ লংঘন বা ব্যর্থতার দায়ে অনূর্ধŸ ২ (দুই) বৎসর কারাদন্ড, বা অনূর্ধŸ ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।